সদর উপজেলার ভুইগড় রঘুনাথপুরে হান্নানের মালিকানাধীন আলিফ গার্মেন্টসের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী একই গার্মেন্টসের পঞ্চম তলায় সুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২ জুন আলিফ গার্মেন্টসে চাকরি নেন ওই তরুণী। এর দুদিন পর সকাল ৯টার দিকে রঘুনাথপুরের ভাড়া বাসা থেকে কর্মস্থলে যান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন বিদ্যুৎ না থাকায় গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। পরে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তৃতীয় তলায় একই গার্মেন্টসের কর্মী মোল্লার সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়ে তরুণীর মুখ চেপে ধরে আরেকজনের সহায়তায় পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন মোল্লা।
বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেন তারা। ঘটনার একদিন পর কর্মস্থলে কাজে যোগ দেন ভুক্তভোগী তরুণী। পরে বিষয়টি কর্মস্থলে থাকা লাকিকে জানান। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকতে বলেন লাকি। এর দুদিন পর মালিককে জানালেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (হাজীগঞ্জ ফাঁড়ি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।