২ বছরের এক শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার খেবরাজপুর এলাকায়। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে মৃত ৫ জনকে তাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে রামকুমারের বাড়ি থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘরে আগুন লেগেছে এই আশঙ্কা করে বেশ কয়েক জন মিলে রামকুমারের বাড়িতে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন। এসময় তারা বাড়ির চারদিকে পাঁচ জনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় একটি ঘরে আগুন জ্বলছিল।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এছাড়া হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে একটি বিশেষ দলও গঠন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারাই বা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পূর্বপরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের এসএসপি অজয় কুমার জানিয়েছেন, বেডরুমে আগুন লেগেছিল। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সাত সদসস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে কেন হত্যা করা হলো এবং এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কী কারণ রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে এই প্রয়াগরাজ থেকেই একই পরিবারের পাঁচ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। গত ১৬ এপ্রিল নবাবগঞ্জের খাগলপুর গ্রামে এক নারী এবং তার তিন মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।