পলাশবাড়ীতে অস্বচ্ছল মেধাবী ছাত্রীসহ প্রতিবন্ধীরা পেল ৩৫ হাজার টাকার চেক। আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন ইউএনও’র
=
-পলাশবাড়ীতে ইউএনও কামরুজ্জামান নয়নের ব্যতিক্রম উদ্যোগে অস্বচ্ছল পরিবারে বেড়ে উঠা মেধাবী ছাত্রীসহ প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৩৫ হাজার টাকার চেক বিতরন করা হয়।
জানা যায়,গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের অস্বচ্ছল দরিদ্র মজনু রহমানের পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন মিমিনুর আক্তার মিম।মজনু রহমানের সংসারে অস্বচ্ছলতা থাকায় দারিদ্রতার মাঝে বেড়ে উঠে মিমিনুর আক্তার মিম।বাবা-মায়ের সংসারে অস্বচ্ছলতা ও পরিবারে দারিদ্রতার মাঝেও পড়াশুনা চালিয়ে আসেন মিম।দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া মেধাবী ছাত্রী মিম গেল বছর পলাশবাড়ী সরকারী কলেজ থেকে এ প্লাস পেয়ে সাফল্যের সাথে উর্ত্তীন হন। সে উর্ত্তীন হয়ে আশুলিয়া ডিপোজিট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুড এ্যান্ড নিউট্রিশন শাখায় ভর্তি হন।দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী মিমিনুর আক্তার মিম শিক্ষাবর্ষের ফুড এ্যান্ড নিউট্রিশন শাখার একজন নিয়মিত ছাত্রী।একই ইউনিয়নের আমলাগাছী গ্রামের শ্রী চন্দ্র দাস দ্বিতীয় কন্যা বিবাহে আর্থিক সংকটে পড়েন। এদিকে
পলাশবাড়ী পৌরশহর এলাকার গৃধারীপুর গ্রামের বাসিন্দা অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী হাসান মিয়া।প্রতিবন্ধী হাসান মিয়া এক অসহনীয় পঙ্গুত্বের জীবন-যাপন করে আসছেন।এছাড়াও উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী নয়ন কুমার সাহা।তিনি বছর তিনেক পূর্বে সুস্থ্য সবলই ছিলেন।সংসারের অভাব-অনাটন লেগেই থাকতো। ও অস্বচ্ছলতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পরিবারে একটু স্বচ্ছলতা নিয়ে আসতে ভ্যান চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ভ্যান চালাতে গিয়ে গাছের ডালের নিচে পা পড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায়।আগের মতোই শারীরিক সুস্থ্যতা থাকতে পায়ের চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে এলাকাবাসী নিকট হাত পাতেন।এলাকাবাসীর সামান্য কিছু সহযোগীতা নিয়ে তার শারীরিক সুস্থ্যতা ফিরে পেতে চিকিৎসা করান।চিকিৎসা করেও কোন ফলপ্রসূ না হওয়ায় অবশেষে একটি পা পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে সংসারের অভাব-অনাটনে আজ হুয়িল চেয়ারে চলাফেরা করছেন।তবে তিনি শারীরিক অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় ওই পরিবারটি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। পরিবারটি দীর্ঘদিন থেকে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করে আসছেন।একারনে ওই পরিবারটি বাড়তিকিছু সহযোগীতার প্রয়োজন।
এরই প্রেক্ষিতে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন ১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে তার অফিস কার্য্যালয়ে দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী মিম-এর পড়াশুনা চালানোর জন্য তার মায়ের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক, হাসান মিয়ার চিকিৎসা ব্যয়ভারের জন্য ৫ হাজার টাকার চেক,নয়ন কুমার সাহার চিকিৎসা ব্যয়ভারের জন্য ১৫ হাজার টাকার চেক ও চন্দ্র দাসের কন্যার বিবাহের খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকার চেক তাদের হাতে তুলে দেন। ৩৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ইউএনও কামরুজ্জামান নয়ন আরও এক দৃষ্টান্ত স্থাপণ করেন। আর্থিক সহায়তা চেক প্রদানে এসময় উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ,ভাইস-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।