পিতার মৃত্যুর পর সাধারণত সন্তানদের মাঝে কান্নাকাটির রোল পরে যায়। এবার ঘটলো এক ব্যতিক্রম ঘটনা। মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পরও সন্তানরা ব্যস্ত ছিলেন বাবার সম্পত্তি বুঝে নিতে। চরম এই নিষ্ঠুরতার শিকার সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ ভূইয়া।ঘটনাটি রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকার।
সম্পত্তি ভাগ না হওয়া পর্যন্ত বাবার লাশ দাফন করতে দেয়নি সন্তানরা। মৃত্যুর পর রাস্তার পাশে লাশ রেখে তর্কে জড়ান স্বজনরা।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত ফিরোজ ভূইয়ার দুই ছেলে রাকিবুল ইসলাম ও আবির। বড় ছেলে রাকিব বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। শেষ সময়ে মা বাবার দেখাশোনাও ভালোভাবে করেনি ছোট ছেলে আবির ও তার স্ত্রী।
এমন অভিযোগ ফিরোজ ভূইয়ার স্ত্রী ও বড় ছেলের।লাশ দাফনের সুরাহা টানতে প্রশাসন থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাউকেই পাত্তা দেননি ছোট ছেলে। দুই সন্তানের দ্বন্দ্ব নিরসনে শেষ পর্যন্ত মধ্যস্থতায় আসেন এলাকাবাসী, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। অবস্থা বেগতিক দেখে সম্পদের অধিকার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরোজ ভূইয়ার দাফন কাজ শেষ করার ব্যবস্থা হয়।