গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে সহিংসতা করে নির্বাচনী মালামাল ছিনতাই চেষ্টা মামলায় পরাজিত সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদের প্রার্থী আব্দুল লতিফ ও তার সমর্থক শুকরু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে, দুপুরে হরিনাথপুর গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আব্দুল লতিফ (৩৮) হরিনাথপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে (মেম্বার) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি মধ্যপাড়ার মৃত্যু সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। এছাড়া তার সমর্থক শুকরু মিয়া (৩৩) হরিনাবাড়ি গ্রামের মৃত্যু জবের আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, হরিনাবাড়ী ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার প্রদীপ কুমার বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল লতিফসহ তার সমর্থকদের ৫০ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ১৪০/১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে আব্দুল লতিফ ও তার সমর্থক শুকরুকে গ্রেফতার করে আদালতে নেয়া হয়। পরে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মামলার এজারনামীয় আসামিসহ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে মামলাটি সঠিক তদন্ত করাসহ নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবেনা বলে জানান তিনি। এদিকে, মামলার পর গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন ৪নং ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। পুলিশের ঘন ঘন টহলে কোনও পুরুষ বাড়িতে থাকছেন না। এতে থমথমে অবস্থাসহ গ্রামজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পলাশবাড়ির হরিনাথপুর ইউনিয়নের ২নং হরিনাবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গননা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ভোট গননা সঠিক হয়নি এমন অভিযোগে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আব্দুল লতিফ তার পক্ষের লোকজন কেন্দ্রটি ঘিরে ফেলে। পরে তারা প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কেন্দ্র ত্যাগে বাধা দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে নির্বাচনী মালামাল ছিনতাই করার চেষ্টা চালায়। এছাড়া সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।